কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :-
নিয়মকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে যেন অনিয়মকে নিয়তে পরিনত করেছে আরজত আতরজান স্কুলে৷৷বলছি ঐতিহ্যবাহী আরজত আতরজান স্কুলের দুর্নীতি ও অনিয়ম যেন পিছু ছাড়ছে না। কিশোরগঞ্জ ৭নং ওয়ার্ডে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠা ১৯৬৭ সালের পুরাতন স্কুলটি কলঙ্গের দাড় প্রান্তে এসে দাড়িয়ে যাচ্ছে।
এমন কথাগুলি বলার পিছনে অনেক কারন আছে ,যার পরিপেক্ষিতে এমন কথা৷প্রথমে প্রধান শিক্ষক আবুবকর সিদ্দিক দুর্নীতির দায়ে বহিস্কার,তার পর সহশিক্ষক লুৎফুরন্নেছা চিনু ছাত্রীদের সাথে আচরন খারাপ করা ফলে সাময়িক বহিস্কার৷এখন আবার অনুসন্ধানে চার দছর না থেকেও চাকরীতে বহাল সহঃগ্রন্থাগার কামরুজ্জামান ৷ আচরন খারাপ থসদর থানার আওতায় আরজত আতরজান স্কুলের কথা ৷
অনুসন্ধানে জানা জানা যায় আরজত আতরজান স্কুলের সহঃগন্থাগার কামরুজ্জামান রিপন২০১০ সালে স্কুলে গ্রন্থাগার হিসেবে যোগদান করেন ৷কিন্তু দুঃখের বিষয় দুইবছর চাকরী করার পর ২০১২সাল থেকে ২০১৫ সাল পযন্ত দীর্ঘ চার বছর স্কুলে একদিনও আসেনি গ্রন্থাগার কামরুজ্জামান৷অনুসন্ধানে আরও জানা যায় চার বছর অনুপস্থিত থেকেও এমপিও এবং ভুয়া তথ্য দিয়ে টাইমস্কেল নেওয়ার অভিযোগ সত্যতা পাওয়া যায় ৷
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে গ্রন্থাকার হিসেবে ২০১০সালে কামরুজ্জামান রিপন উক্ত স্কুলে যোগদান করার পর ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল দীর্ঘ চার বছর স্কুলের হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত ছিল গ্রন্থাকার কামরুজ্জামান ৷ জানা যায় স্কুলের চাকরীতে অনুপস্থিত থেকে দীর্ঘ চার বছর একটি বেসরকারী এনজিওতে চাকরী করেন ৷ সরজমিনে স্কুলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায় ৷
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় সহঃগ্রন্থাগার কামরুজ্জামান ২০১৬সালের শেষের দিকে পুনরাই স্কুলে যোগদান করেন ৷এতদিন অনুপস্থিত থেকেও তিনি কোন এক অদৃশ্য শক্তির প্রয়োগে এখনও চাকরীতে শিক্ষকতার মত মহৎ পেশাটিতে এক ধরনের প্রতারনা করে টিকে আছেন৷ ২০১৫সাল পর্যন্ত স্কুলে না থেকেও ২০১৩ সালের উপস্থিত দেখিয়ে টাইমস্কেল নেওয়ার মত বিষয়টি সকল শিক্ষকদের বিষ্মিত করেছে ৷
এই বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিনিয়া শারমীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি৷৷অনুসন্ধানে প্রমান হিসেবে পাওয়া যায়আরজত আতরজান স্কুলের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে আসা ১৯-১১-২০১৫সালের তালিকার সহঃগ্রন্থাগারিকে কামরুজ্জামানের নাম ছিল না৷ এতে তো স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তিনি ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের নম্ভেবর মাসের শেষ দিক পর্যন্ত অনুপস্থিত ছিলেন ৷
পরবর্তী সময়ে তিনি তথ্য গোপন করে অবৈধ ও জালিয়াতি করে এমপিও সহ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন যা সম্পূর্নভাবে অবৈধ ও আইনের পরিপন্থি ৷ অনুসন্ধানে জানা যায় ২০১৫সালে আরজত আতরজান স্কুলের পরিদর্শনকালে কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম৷এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসের যোগাযোগ করলে তাদের কাছে এই বিষয়ে কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি ৷
স্কুলের এমন অনিয়ম বিষয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তাদের কথা একটাই দীর্ঘ চার বছর না থেকেও কিভাবে কামরুজ্জামান স্কুলের গ্রন্থাকার বিষয়ে তার নিয়োগটি বৈধ থাকে তা খুজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া৷