স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন :-
তার পিতামহ সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী এবং টাঙ্গাইল 1 এর একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তার পিতামহ এ এম জালালুদ্দীন আহমদ পাকিস্তান আমলে স্টেট ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম মন্ত্রী নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর প্রপৌত্র।
সৈয়দ নওয়াব আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার প্রথম প্রস্তাবক এবং প্রথম বাংলা পত্রিকা মিহির ও সুধাকরের প্রকাশক। জনাব আফিফ উদ্দিনের নানা ও মাতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তারা টাঙ্গাইল ১ থেকে বিএনপির প্রথম ও সর্বশেষ নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
জনাব আফিফ উদ্দিনের মেপলি লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন 1989 সালে, ও লেবেল (এসএসসি) 2001 সালে দিয়েছে, পরে হার্ট ফরশার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজ এবং ব্যাচেলর অফ ল এলএলবি (আইনের স্নাতক) শেষ করেন। কর্পোরেটর ল (মেজর) ও হিউম্যান রাইটস ল। ২০০৭ সালের ডিগ্রী অর্জন সম্পন্ন করেন।
শেষ করে বাংলাদেশে এসে অ্যাকশন এইড দাদা সংস্থায় কাজ শুরু করেন, একশন এইট পড়ে পলিসি রিচার্জ সেন্টারে প্রায় দুই বছর কাজ করেন, তারপর টিচ ফর বাংলাদেশ এনজিও সাথে ৬ বছর কাজ করেন এখন ব্র্যাকের সাথে প্রায় ০৪ বছর যাবত কাজ করছেন । কাজগুলো হচ্ছে খাদ্য অধিকার, যুব অধিকার, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, এর মধ্য মূল কাজ ছিল মানবাধিকার ও অর্থ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে। ২০১৯ সাল থেকে ধনবাড়ী নবাব স্টেট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে উনার মা র সাথে কাজ করেন। ওনার মার মৃত্যুর পর এই স্টেট এর মোতাওয়াল্লী হিসেবে নিয়োগ হন।
২০২০ সালে করোনার সময় ধনবাড়ী মধুপুরের মধ্য ১৯৭৫ টি পরিবারের মাঝে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন ও ধনবাড়ী মধুপুরে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে অক্সিজেন পিপি ও অন্যান্য করুনার প্রতিরোধমূলক ঔষধ প্রদান করেন এবং ৮০০ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র ব্যবস্থা করে দেন। করোনায় কোরবানির দিন সবাই যাতে ভালো খেতে পারে এজন্য ৮ হাজার পরিবারের বিরিয়ানির ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করেন, মসজিদ নির্মাণ, হতদরিদ্রের মাঝে টিউবেল স্থাপন, টয়লেট নির্মাণ ইত্যাদি।
০৫ আগস্ট পর নিহত ও আহত পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান। উনাদের চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, যুদ্ধাহতদের চিহ্নিতকরণ ও তালিকাভুক্ত করে এবং ইনসাফ পাবার সহায়তা প্রদান করেন ২০১২ সালে ওনার আম্মা রাজনৈতিক উত্তরসূরী হিসেবে পরিচিত করেন এবং নির্দেশ দেন উনার রাজনৈতিক কর্মীদের আফিফ আহমাদ সাহেবকে জনগণের কাছে পরিচয় করে দিবার জন্য এবং উনাকে ধনবাড়ী ও মধুপুর মধ্যে সমস্যা ও প্রত্যাশা গুলো চিহ্নিত করতে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিতে যোগদান করলে আশিকা আকবর নির্দেশ দেন জাতীয়তাবাদী দলের জন্য নির্বাচনীয় প্রচারণার কাজে সরকার শহীদ কে সহযোগিতা করতে। উনি তখন ধনবাড়ী মধুপুরে দলের জয়ের লক্ষ্যে নানা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস,ভয় ও জেল জুলুমকে উপেক্ষা করে অগ্রসর হন এবং পোড়ার সময় প্রচারণা চালান আশিকা আকবর ও সৈয়দ হাসান আলীর প্রতিনিধি হিসেবে। যখন দলের কর্মীদের মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে ভরে আওয়ামী সরকার তখন উনি কর্মীদের জামিনের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল কোর্টে কাজ করেন এবং কর্মীদের পরিবারের পাশেও দাঁড়ান.
তিনি তার রাজনৈতিক পূর্বপুরুষদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ধনবাড়ী ও মধুপুরের মানুষের সুখ-দুঃখে গভীরভাবে জড়িত। সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে এসব উপজেলার মানুষের জন্য গ্যাস সংযোগ, ট্রেন সংযোগ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও শ্রমঘন শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করতে চান তিনি। তিনি মনে করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এলাকার মানুষ এখনো গ্যাস, ট্রেন লাইন, বিশ্ববিদ্যালয়, তিন ফেজ বৈদ্যুতিক লাইনসহ প্রয়োজনীয় সেবা না পাওয়াটা অন্যায়।
তিনি আরও বিশ্বাস করেন যে মধুপুরের গারো আদিবাসী সম্প্রদায় যারা কয়েক প্রজন্ম ধরে সেখানে বসবাস করে আসছে তারা এখনও তাদের জমির অধিকার পায়নি। এটা গারো জনগণের প্রতি চরম অবিচার। সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিলে তিনি এগুলো পরিবর্তন করতে চান।