নিজস্ব প্রতিবেদক :-
কৃষি জমি থাকলে কৃষক বাঁচবে, এই প্রবাদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নাগেরহাট বাজারের উত্তর পাশের পাকা ব্রিজের পূর্ব দিকে প্রায় ২ একর কৃষিজমি অবৈধভাবে ভরাট করা হচ্ছে। এই কাজের পেছনে জড়িত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জামাল হোসেন শেখ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে এবং অবৈধ ড্রেজার ব্যবহার করে পাইপের মাধ্যমে জমি ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মো. জামাল হোসেন এই ড্রেজিং বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছিলেন এবং সেই অর্থের প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। সরকার পরিবর্তনের পর তার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদটি বিলুপ্ত হলেও, থেমে নেই তার ভূমিদস্যু ব্যবসা। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন তার কর্মকাণ্ড ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্যক্তিগত বা বাণিজ্যিক প্রয়োজনে জমি ভরাট করতে হলে মোঃ জামালের সঙ্গে চুক্তি করতে হতো। তবে যারা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে পারতেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতেন না প্রশাসন। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কৃষিজমি ও জলাশয় ভরাটের কাজ চলতো।
এই বিষয়ে মোঃ জামাল হোসেন শেখ দাবি করেন, “কাজটি আমার নয়, এটি কনকসার বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাজ। উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি অবগত আছেন।” তবে কনকসার বিএনপির সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কায়েসুর রহমান বলেন, “আমি স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। কৃষিজমি ভরাট করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষিজমি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।