মাটি মামুন রংপুর ব্যুরো :-
রংপুরে বাবার মৃত্যুর পর পারিবারিক ক্লোহের জেরে এক বৃদ্ধা মাকে তিন পুত্র ও পুত্রবধূ কর্তৃক লাঞ্ছিত মার ড্যাং ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।বর্তমানে নির্যাতিত বৃদ্ধা মা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ১৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
অথচ,থানায় দুই পক্ষ অভিযোগ দিলেও নির্যাতিত মার বিরুদ্ধে মামলা নেয় হাজিরহাট থানা পুলিশ। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রংপুর মহানগর জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
সরেজমিন ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের উত্তর মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত শামসুল হকের স্ত্রীর সম্পত্তি আত্মসাৎ এর লোভে বৃদ্ধা মা নাসিমা বেগম (৬৪) দশ সন্তানের মধ্যে তিন ছেলে সুমন,সুজন,বাবু ও তিন বউ সাহানা, সেলিনা, মুন্নি বেগম কর্তৃক লাঞ্ছিত মার ড্যাং ও নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতার খোঁজ পাওয়া যায়।
ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নিজ বাড়িতে তরকারি কাটার সময় ছোট ছেলে মারুফ ও তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুবিধার্থে অভিযুক্ত তিন ছেলে ও ছেলের স্ত্রীরা জমি-জমা ও সম্পত্তি দলিল আত্মসাৎ এর লোভে অনাধিকার প্রবেশ করে হামলা চালায় বলে দাবী করেন বর্তমানে রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা নির্যাতিত মা নাসিমা বেগম।
থানার লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী মা জানান- সম্পত্তি জোড়পূর্বক লিখে নিতে চাইলে তা দিতে অপারগতা স্বীকার করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।একপর্যায়ে জমি লিখে দিতে অসম্মতি জানালে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে মার ড্যাং করতে থাকেন।
জীবন রক্ষার্থে তাদের জমি লিখে দিতে চাইলে তারা মার ড্যাং থামিয়ে এসময় বাড়ির চেয়ার,টেবিল ও ফ্যানসহ বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর সহ প্রায় ৩৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন-রবিবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে নির্যাতনের শিকার হয়ে নাসিমা নামে বৃদ্ধা হাসপাতালে ভর্তি হন।
তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম ও তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। মার নির্যাতনের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসলে অভিযুক্ত তিন ছেলে ও তিন ছেলের স্ত্রী বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে নির্যাতিত মা ছোট ছেলে মারুফকে আওয়ামী সন্ত্রাসী বানিয়ে সেই সাথে ঢাকা থেকে প্রকাশিত অগ্রযাত্রা প্রতিদিন এর রংপুর ব্যুরো ইনচার্জ মাটি মামুন কে ভুয়া সাংবাদিক বলে ব্যানারে নাম দিয়ে মানববন্ধন করেন।
ফলে ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজমান। নির্যাতিত মা রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযোগ করে আরো বলেন, রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানায় নির্যাতিত ও আহত অবস্থায় তিন ঘন্টা যাবত থানায় ধরনা দিয়েও মামলা নেয় নি পুলিশ, উল্টো বড় ছেলে অভিযুক্ত সুমনের স্ত্রী শাহ্হানা বেগমের মামলা নিয়েছে হাজির হাট থানা পুলিশ, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী মার।
অথচ, মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ বাংলা টিভি ও অগ্রযাত্রার ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও মুঠোফোনে জানায় – দুপক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বড় ছেলের পক্ষে মামলা হয়েছে মা’র পক্ষে কোন প্রতিনিধি আসলে সেটিও মামলা নেওয়া হবে বলে জানান,হাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আল মামুন শাহ বলেন।