স্টাফ রিপোর্টার :-
মুন্সিগঞ্জ সদরের মেঘনা নদীতে স্পিডবোট-ট্রলারের সংঘর্ষে শান্ত আহমেদ (৩৫) নামের এক যুবদল নেতা মারা গেছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আধারা ইউনিয়নের জাজিরা এলাকায় ঢাকা থেকে আসা স্পিডবোটের সঙ্গে ট্রলারটির সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, নিহত শান্ত আহমেদ চরকেওয়ার ইউনিয়নের উত্তর চরমশুরা এলাকার বোরহান সরকারের ছেলে।মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত নভেম্বরের ১ তারিখ আনুমানিক রাত সোয়া ১০ টার দিকে ঢাকা সদরঘাট হইতে স্পিডবোট নিয়ে, মুন্সিগঞ্জ আসার পথে এই সংঘর্ষ ঘটে, স্পিডবোট-ট্রলারের সংঘর্ষে শান্ত আহমেদ (৩৫) নামের এক যুবদল নেতা মারা গেছেন।
শুক্রবার রাত ১০.১৫ টার দিকে আধারা ইউনিয়নের জাজিরা এলাকায় ঢাকা থেকে আসা স্পিডবোটের সঙ্গে ট্রলারটির সংঘর্ষ হয়। আরও জানা গেছে, সংঘর্ষে সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শান্ত আহমেদ গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে তারই চাচাতো ভাই, নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও চর হোগলা গ্রামের, পিতাঃ মোঃ নুরুদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ শামীম বাদী হয়ে, ১০/ ১১/ ২০২৪ সে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলার নাম্বার, (১৩তাং১০/১১/২৪ইং, বারাঃ২৮০/৩০৪(ক) এ বিষয় বাদিঃনুর উদ্দিন এর, ছেলে মোহাম্মদ শামীম জানান বলেন, হোসেন (৩০), পিতা-হাফিজুদ্দিন, আমিন মোল্লা (২৫)পিতা-মোয়াজ্জেম মোল্লা, আসাদুল্লা (৩০)পিতা-তাইজুদ্দিন, জয়নাল (২৬) পিতা-
ওমর,আলি,রাজন,হাওলাদার(২৫)পিতা মনির হোসেন হাওলাদার বশির (৪৫), পিতা- মুলকচান ফকির, সর্ব সাং-বকচর, থানা-সদর, জেলা-মুন্সিগঞ্জগনদের বিরুদ্ধে এই এজাহার দাখিল করেন, এজাহারে উল্লেখ করা হয় যে, আমার চাচাতো ভাই শাহাদাৎ হোসেন (৩৮) পিতা- মোতালেব মেম্বার গত ১/১১/২০২৪ ইং তারিখ সময় রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা সদরঘাট হইতে স্পিড বোর্ট নিয়ে তার সাথে শামীম হোসেন (৪৫), পিতা-বোরহান উদ্দিন, শান্ত সরকার (৩৫), পিতা- মৃত বোরহান সরকার,শাহাদাৎ (৩৮), পিতা- মোতালেব মেম্বার, টিপু (৪৫), পিতা-মহিউদ্দিন মোল্লা, মিন্টু (৩৫)কিবরিয়া (৫০), পিতা-খালেক মিজি ও জাফর (২২)পিতা-জাহাঙ্গীর
মিজি,আশোক আলী (৪৮) সহ সবাইকে নিয়ে ব্যবসায়িক কাজে কালিরচর, সদরথানা, মুন্সিগঞ্জ আসার পথে রাত অনুমান ১০.১৫ ঘটিকার সময় মুন্সিগঞ্জ সদর থানাধীন আধারা ইউনিয়নের অন্তর্গত,জাজিরা-বকচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পৌছাইলে উপরোক্ত বিবাদীগনের ব্যবহৃত মাছ ধরার ট্রলারটি,আলোবিহীন টলারের চালক বিপরীত দিক হইতে বেপরোয়া গতিতে আমার চাচাতো ভাইয়ের ব্যবহৃত স্পিড বোর্টকে জোরে ধাক্কা দিলে স্পিড বোর্টটির বাম পাশ ভেঙ্গে আঘাত করে।
ইহাতে স্পিড বোর্টে থাকা শান্ত সরকার (৩৫), শামীম (৪৫) ও মিন্টু (৪৫) গুরুতর আহত হন এবং আমার চাচাতো ভাইসহ দুই- তিনজন সামান্য আহত হয়। শান্ত সরকার(৩৫), শামীম (৪৫) ও মিন্টু (৪৫) এর অবস্থা আশংকা জনক হইলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রথমে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে মান যায়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হইলে শান্ত সরকার (৩৫) ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত অনুমান ১.৩০ ঘটিকায় কতব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা
করেন। গুরুতর আহত শামীম, মিন্টু ও কিবরিয়া মিজি ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে মর্মে জানতে পারি। আমার চাচাতো ভাই মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়,আছে। ঘাতক ট্রলার এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ স্পিড বোর্টটি চর আবদুল্লাহপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি কর্তৃক,উদ্ধার করেছে মর্মে জানতে পারি।
উপরে উল্লেখিত বিবাদীগন বেপরোয়া এবং অবহেলিতভাবে, জাজিরা-বকচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে তীব্রগতিতে ট্রলার চালানোর অপরাধে একজনের মৃত্যু এবং,চারজন গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটে। আমার চাচাতো ভাইয়ের চিকিৎসাসহ ঘটনা সংক্রান্তে সকলের সহিত আলোচনা এবং আসামীদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করিয়া এজাহার দাখিল করা হয়,
পরিবারের বরাতে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরএ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।