খন্দকার সেলিম রেজা স্টাফ রিপোর্টার :-
মঙ্গলবার ২৯ শে অক্টোবর নরসিংদীর রায়পুরায় সুস্মিতা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূকে মারধরের পর শ্বাসরুদ্ধকরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই স্বামী যুবায়ের মিয়ার বিরুদ্ধে। দুপুরে পৌর শহরের শ্রীরামপুর আল-সাবাহ্ হাসপাতালের পিছনে থাকা একটি বাসা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবায়ের (২৬)বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের আজিজুল হক ওরফে আফজাল মিস্ত্রি’র ছেলে ও ডিজিএফআই হেড কোয়াটারের চাকুরি করেন বলে জানাগেছে।নিহত সুস্মিতা সায়দাবাদ গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে।সুস্মিতার বাবা শ্রীরামপুর কামাড়বাড়ি মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে সুস্মিতা বাপের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো।
নিহতের স্বজনরা জানান,প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের আজিজুল হক ওরফে আফজাল মিস্ত্রি’র ছেলে মো. যুবায়ের মিয়া’র সাথে সায়দাবাদ গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে সুস্মিতা’র বিয়ে হয়।বিয়েতে যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবী করে ছেলে পক্ষ।পরে মেয়ে পক্ষ তিন লক্ষ টাকা পরিশোধ করে পরে আরো যৌতুকের বাকী দুই লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য স্ত্রী সুস্মিতাকে স্বামী যুবায়ের প্রতিনিয়তই মারধোর করতো।দুই বছর বিবাহিত জীবনে তাদের আট মাসের একটি কন্যা শিশু রয়েছে।
এছাড়া স্বামী যুবায়ের পরকিয়াতে জরিত থাকার কথা জানার পর স্ত্রী সুস্মিতা সাথে প্রতিনিয়তই তার ঝগড়া বিবাধ লেগে থাকতো।এরই জেরে আজ দুপুরে বাপের বাড়িতে খাওয়া শেষে স্বামী যুবায়ের ও তার স্ত্রী সুস্মিতা শোবার ঘরে যায়।কিছুক্ষণ পর স্বামী বেরিয়ে বাহিরে গেলে সুস্মিতার ঘর বন্ধ পাওয়া যায়।এক পর্যায়ে স্বামী এসে ঘর খুলে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থা সুস্মিতাকে দেখে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।মৃত ঘোষণার পর স্বামী যুবায়েরকে নিয়ে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে চায় আশরাফুল নামের এক যুবক।পরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।একপর্যায়ে স্থানীয় জনতা ও নিহতের স্বজনরা যুবায়েরকে থানায় প্রেরণ করে।এ বিষয়ে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জব্বার জানান,পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।নিহতের পরিবারের এজাহারের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে