খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য এর চাচাতো ভাই আওয়ামী সন্ত্রাসী দের দ্বারা দীর্ঘদিন জাবত নির্যাতিত হয়ে আসছে একটি অসহায় পরিবার, উক্ত বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় মূলত তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ এর লোভেই তার আপন চাচাতো ভাইয়েরা ও তার আপন ছোট চাচা দীর্ঘদিন যাবত তাদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে, ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জানান তিনি তার বাবা ও মায়ের একমাত্র কন্যা সন্তান তার বাবা গাজী শহিদুল ইসলাম তিনি সাহাপুর নিবাসী গাজী নজরুল ডাক্তারের সেজো ছেলে, ভুক্তভোগী বাল্য বয়সেই তার বাবাকে হারায় তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তার মা ছিল তার একমাত্র সম্বল এই সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে সে তার বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল তার মা কেও হারিয়ে ফেলেছে,
মূলত তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই তার বাবার আপন ছোট ভাই গাজী সাহিদ ও তার বড় চাচা গাজী শাহজাহানের ছোট ছেলে সুমন গাজী ও তাদের বাকি শরিকেরা তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ আত্মসাৎ এর লোভে মরিয়া হয়ে ওঠে, তাদের সকল অংশ তারা বুঝে নেওয়ার পরেও ভুক্তভোগীর ভাগের সম্পদ নিজেদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় ভুক্তভোগীর মায়ের উপর চাপ দিতে থাকে বিভিন্ন উপায়ে চাপ প্রয়োগ করার পরেও তাদের মনের আশা পূরণ না করতে পেরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে ধারাবাহিকভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে, ভুক্তভোগীর মা এ সকল বিষয়ে অনেকবার নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করে কিন্তু এই ক্ষমতাশালী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার দাপটের সামনে হারিয়ে যায় সকল অভিযোগ, এ সকল নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গত ১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকায় সন্ত্রাসী সাহিদ গাজী , সুমন গাজী, তাহাসিন গাজী ও সুমন ও সাহিদ গাজীর স্ত্রী উর্মি ও পলি ভুক্তভোগীর মা রেক্সোনা বেগমকে বেধড়ক মারধর করে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয় এসময় ভুক্তভোগীর নানী আয়েশা বেগম সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি বলেন তার চোখের সামনেই তার অসুস্থ মেয়েকে মারধর করতে থাকে সন্ত্রাসীরা তিনি বাধা দিলে তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় ।
ও তার মেয়েকে পেটাতে পেটাতে ঘর থেকে বের করে দেয় তার কিছুক্ষণ পরেই কলেজ থেকে বাসায় ফেরে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ফাতেমা তার নানীর মুখ থেকে সকল ঘটনা শুনে সে রাগান্বিত হয়ে চিল্লাপাল্লা করতে থাকে এ সময় সন্ত্রাসী সাহিদ তার কণ্ঠ শুনতে পেয়ে সুমন ও তার ছেলে তাহাসিনকে একত্রিত করে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে, মারধর করার একপর্যায়ে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে শক্ত খুটির সাথে বেঁধে তার হাত-পা লোহার রড আগুনে গরম করে সেই গরম লোহা দিয়ে পুড়িয়ে ঝলসে দেয় ও তাকে জনসম্মুক্ষে মানসিক ভারসাম্যহীন সাব্যস্ত করার জন্য সেই কলেজ ছাত্রীর চুল কেটে দেয়, এই ঘটনা যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানাবে, পরবর্তীতে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী তার নানির সহযোগিতায় সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ও খুলনা শহরের দিকে পালিয়ে চলে আসে ভুক্তভোগী তার এই অপমান ও লাঞ্ছনা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে খুলনা ভৈরব নদীতে ঝাঁপ দেয় স্থানীয়দের দৃষ্টিতে পড়লে তারা তৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে খালিশপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে থানার তখনকার অফিসার ইনচার্জ কলেজ ছাত্রীর মুখে বিস্তারিত ঘটনা শুনে তাকে তার চাচা ও চাচতো ভাইদের নামে মামলা করার পরামর্শ দেয় এবং তার পরিবারকে থানায় আসতে বলে এবং সন্ত্রাসীদের কেও জরুরিভাবে থানায় আসতে বলে কিন্তু এই
আওয়ামী ক্ষমতাশালীরা নিজেরা থানায় উপস্থিত না হয়ে তার চাচাতো ভাই ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ কে খালিশপুর থানায় পাঠিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টাকে ধামাচাপা দিয়ে দেয় ও ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী কোনী লিগাল গার্জিয়ানের উপস্থিতি ছাড়াই কলেজ ছাত্রীকেমানসিক ভারসাম্যহীন আখ্যায়িত করে উপজেলা চেয়ারম্যান থানায় একটি মুষলিকা দিয়ে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে সেখান থেকে নিয়ে তার বাসায় দিয়ে আসে এবং সেখানে সাহিদ গাজীরা তাকে গৃহবন্দী করে রাখে এমনকি কোনো হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে দেয় না , এভাবে কিছুদিন গৃহবন্দী থাকার পরে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ও তার মা তাদের নিজেদের ঘর ছেড়ে তার নানি বাড়ি চলে যায় এবং সেখানে দুর্বিষহ মানবেতর জীবন পার করতে থাকে, নিজের ও নিজের মেয়ের প্রতি এমন অন্যায় কিছুতেই মেনে না নিতে পেরে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর মা রেক্সোনা বেগম শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রচুর অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে নিজের মায়ের অসুস্থতা দেখে তাকে ভালো চিকিৎসা করানোর জন্য ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী তার বাবার রেখে যাওয়া সাহাপুর বাজারে একটি দোকান ঘর বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু সেখানেও এই মানুষরূপী পশুরা বাধা দেয় ভুক্তভোগীর আকুতি-মিনতিতে এলাকার কিছু মানবিক মানুষ তখন এগিয়ে আসে কিন্তু তারাও এই অমানুষদের ক্ষমতার সামনে নিরুপায় হয়ে যায় কিছুটা সামাজিক চাপের মধ্যে পড়ে সন্ত্রাসী সুদ কারবারি সাহিদ গাজী ভুক্তভোগীকে সেই দোকান ঘর বন্ধক রাখার বিনিময়ে প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা সুদের হারে এক লক্ষ টাকা দেয় তার মায়ের চিকিৎসার জন্য।
এক পর্যায়ে এসব যন্ত্রণা না সহ্য করতে পেরে গত ২৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর মা মৃত্যুবরণ করেন, এভাবেই নিজেদের সর্বস্ব থাকতেও মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ফাতেমা, কিন্তু হঠাৎ গত ৫ই আগস্ট ছাত্র -জনতার চাপের মুখে যখন সন্ত্রাসীদের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পতন হয় তখন এই ভুক্তভোগী পরিবার তাদের প্রতি হওয়া দীর্ঘদিন ধরে অমানবিক নির্যাতন ও তাদের ন্যায্য সম্পদ লিখিত আকারে বুঝে পাওয়ার জন্য ও সুবিচার পাওয়ার আশায় ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা এর সহযোগিতায় ভুক্তভোগীর নানি আয়েশা বেগম বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে এজাহারের আবেদন করে, থানার (ওসি) প্রাথমিকভাবে আবেদনটি গ্রহণ করেন ও এ বিষয়ে তদন্তের জন্য ডুমুরিয়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ শাহিন, কে দায়িত্ব দেন। গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র -জনতার আন্দোলনে এই খুনি সরকারের পতন হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনো রয়েছে তাদের এই সাহিদ- সুমন দের মত অনেক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দাপট, পূর্বের ন্যায় এবার ও কি এদের ক্ষমতা ও অর্থের দাপটের কাছে হার মানতে হবে এই ভুক্তভোগী পরিবারকে — নাকি ছাত্র জনতা একত্রিত হয়ে ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়িয়ে এনে দেবে তাকে সুবিচার।