মোঃকামরুজ্জামান,দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি :-
ভুট্টা চাষের জন্য ডিসেম্বর মাস বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। তবে বাড়তি লাভের আশায় অক্টোবরও নভেম্বর মাসের শেষ দিক থেকেই আগাম জাতের ভুট্টা চাষে মাঠে নেমে পড়েছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা। বর্তমানে জমি তৈরিসহ লাইন টেনে বীজ বপনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
সরেজমিন দেখা গেছে দিনাজপুর জেলা খানসামা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গোয়ালডিহি, নলবাড়ী, দুবলিয়া, হাসিমপুর আংগার পাড়া,ভাবকী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ৫-৭ জন কৃষিশ্রমক দলবেধে জমিতে দড়ি দিয় লাইন টেনে ভুট্টার বীজ বপন করছেন। দিন ছোট হওয়ায় কাকডাকা ভোর থেকেই কৃষিশ্রমিকরা, বিশেষ করে পুরুষরা জমিতে কাজে নেমে পড়ছেন।
মাঠে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিক হাবিব ও রানা শ্রমিক বলেন ভুট্টা বীজ বপন করতে কেউ আবার দিনহাজিরা ও কন্টাক নিয়ে কাজ করতেছে, দিনহাজিরা ৬০০ টাকা আর আর কন্টাক ১৪০০ টাকা প্রতি বিঘা। চাষীরা Mk tv প্রতিনিধি মোঃ কামরুজ্জামান দিনাজপুর প্রতিনিধিকে জানান ভুট্টা লাগাতে প্রতিটি শ্রমিককে দিনহাজিরা ৬০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে, তবু মিলতেছে না শ্রমিক।
গত বছর সাড়ে তিন একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলেন তিনি। আগেভাগে ক্ষেতের ভুট্টা ঘরে তোলায় আশানুরূপ লাভও পেয়েছেন। এ বছর তিনি সাড়ে চার একর জমিতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করছেন। ক্ষেতে রোগবালাই কম আক্রমণ করে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে সেচ ও সার কম লাগে।
একই ইউনিয়নের নলবাড়ি গ্রামের আগাম ভুট্টাচাষি নুর ইসলাম জানান, আগেভাবে ভুট্টা ঘরে তুলতে পারলে আশানুরূপ লাভের মুখ দেখা যায়। এ কারণে দুই বিঘা জমিতে আগেভাগে আগাম ভুট্টা চাষে নেমেছেন তিনি। শুধু তিনিই নয়, এলাকার অন্তত ৩০ ভাগ কৃষক আগাম ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন লাভের আশায়।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, রবি মৌসুমের ফসল ভুট্টা বছরে দুইবার চাষ করা হয়। আগাম জাতের ভুট্টা সাধারণত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চাষ করা যায়। আবার নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের ভুট্টা চাষাবাদ করা যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, কম খরচে চাহিদা অনুযায়ী লাভ পাওয়ায় উপজেলার চাষিরা ভুট্টা চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এ জন্য ভুট্টা চাষ বেড়েছে উপজেলাজুড়ে। কৃষি বিভাগের ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।