কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :-
শুধু ব্রিজের দু’পাশই নয়, যত্রতত্র অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানোর কারণে রাস্তার দু’পাশের ফুটপাত চলে গেছে হকারদের দখলে। ফুটপাতে হাঁটার জায়গা না থাকায় পথচারী চলাচলে সড়কে বেড়েছে যানজট। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ পর্যাপ্ত না থাকার কারণে যানজট পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্তনের বাহিরে চলে গেছে৷
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ব্রীজ ও রাস্তার দু’পাশে হকাররা সারি সারি দোকান বসিয়েছেন। এ কারণে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পারছে না পথচারীরা । ফুটপাতের পাশেই অর্ধেক সড়কজুড়ে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান। তাছাড়া বেআইনিভাবে কিশারগঞ্জ শহরের একমাত্র শিশু পার্কের নাম ভাঙিয়ে রাস্তা দখল করে গড়ে তুলা হয়েছে অবৈধ দোকান।
এই বিষয়ে দোকানদারদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলে প্রতিটি দোকান বসানো ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম দিতে হয়েছে আর ভাড়া তো আছেই ৷অভিজাত এলাকায় কিভাবে রাস্তা দখল করে এমন দোকান বসানো হলো তা সাধারন পথচারীদের মনে প্রশ্ন থেকেই যায়!!এছাড়াও রাস্তা দখল করে কাপড়, ফলের দোকান বসিয়ে সারা বছরই এভাবেই সাধারন মানুষদের কষ্ট দিয়ে চলে বেচাকেনা।
এতে জনসাধারণের চলাচলে অনেক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।আবার দেখা যায় কেউ কেউ ফুটপাতের ওপরেই ছাউনি দিয়ে পণ্য ঝুলিয়ে রেখেছেন৷এই বিষয়ে কিছু চাকরিজীবী, পথচারী ও স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, শহরের ফুটপাত দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটার কোনো উপায় নেই। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি, দ্রুত ফুটপাত চলাচলের উপযোগী করা হোক। যানজট নিরসনে পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
যানজট নিরসনের ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ শহরে মানুষের কর্মচাঞ্চল্য বাড়লেও রাস্তাঘাট প্রশস্ত হয়নি। শহরে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত পরিবহণ হওয়ায় যানজট সব সময় লেগেই থাকে। তবে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি৷৷