মোঃ মোশারফ হোসেন কাউনিয়া রংপুর প্রতিনিধি :-
রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পাশে কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ডের টেপামধুপুর রোডে পড়ন্ত বিকেলে নানান রকমের ফলের পসড়া সাজিয়ে বসে আছেন ফল ব্যবসায়ি আব্দুল কাদের। তরতাজা বিভিন্ন ফলে পরিপূর্ণ দোকানে হাঁকডাকে তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্রেতারাও সেখানে তাদের পছন্দের ফলের দামদর করছেন।
তবে আগের তুলনায় ফলের দাম বেশী তাই ক্রেতা কম! ফল ব্যবসায়ি আব্দুল কাদের জানান, দুদিন আগে রাজশাহী, নওগা ও চাপাই হতে নিয়ে আসা আম অর্ধেক বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তার দোকানে প্রতি কেজি আপেল ৩৪০ টাকা পুজি আপেল ২৬০ টাকা লাল আংগুল ৫০০ টাকা কমলা ৩২০ টাকা নরসিংদী আম ২০০ টাকা ঝিনুক আম ২০০ টাকা আমড়া ৪০ টাকা মাল্টা ৩২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এছাড়া দেশীয় ফল আনারস, তরমুজ, ডেউয়া, গোলাপজাম, বেতফল, গাব, জামরুল, আতাফল, কাঁচা তাল, আখ, বেল ও শরিফাসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করেন আব্দুল কাদের।
হরেকরকম স্বাদের ফল মিলে বলে এলাকায় ইতোমধ্যে কাদের ফল দোকান হিসেবে পরিচিতিও পেয়েছে বেশ। আবদুল কাদের আরও বলেন, রাঙামাটির পাহাড় থেকে আনারস এসেছে রংপুরে সেখান থেকে কিনে এনে খুচরা হিসেবে বিক্রি করছি। পাশেই আরেক ফল বিক্রেতা মকবুল হোসেন আমলকি ফল হাতে নিয়ে ক্রেতার উদ্দেশ্যে বলছেন, এই ফলে হাজার রকমের গুণ রয়েছে। খেতে খেতে স্বাদও বদলায়। মুখে দিলে এক স্বাদ চিবোলে আরেক স্বাদ, খেয়ে জল পান করলে মিঠা স্বাদ। এছাড়া পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল তালের শাঁস। এই কচি তাল বা ‘তালের শাঁস’। কাউনিয়ার অলিগলি ও প্রধান সড়কের আশপাশে ভ্যানে বিক্রি করতে দেখা যায় তালের শাঁস। প্রতিটি তালের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা। স্থানভেদে তালের দাম নির্ধারিত হয়। তিনি বলেন, মৌসুমে ফলের দাম কিছুটা কম থাকে তাই বিক্রি বেশী হয়।
সে-তুলনায় এখন ফলের দাম একটু বেশী ফলে ক্রেতা ও কমেছে। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, প্রথমদিকে ফলের দাম অনেক বেশি থাকে। আস্তে আস্তে কমে। তাছাড়া দূরদূরান্ত থেকে ফল নিয়ে আসতে আসতে ফলের গুনগত মান নষ্ট হয়, তেমন টাটকা থাকে না। ক্রেতাদের দাবি, বিক্রেতাদের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ফলের স্বাদ ও মান নষ্ট হয়ে যায়।